ফজলুর রহমান খান।।
ফজলুর রহমান খান।।
আমেরিকা যুগে যুগে কতো বাংলা মায়ের সুবিধা বঞ্চিত ছেলেদের হাতিয়ে নিয়েছে তার হিসাব কষলে লিস্টটা অনেক লম্বাই হবে। মনে হয় হাতিয়ে নেয়াটা বললে ভুল হবে, বলা যায় আমেরিকা নিজের দেশের সন্তান করে নিয়েছে, এদেশে এনে বসে যাওয়া মেধায় শান দিয়েছে, মগজ টা আরেকটু উর্বর করে নিয়েছে, সুবিধা নিয়েছে-দিয়েছে ও বটে, দিয়েছে অনেক সম্মান, উপকৃত হয়েছে ও । আমাদের দেশের সুবিধা বঞ্চিত অনেকেই এই সুযোগ নেবার অপেক্ষায় থাকেন। এসব সুযোগের জন্য নূন্যতম কিছু যোগ্যতা থাকতে হয়, উচ্চ শিক্ষার হাত ধরেই এসব সুযোগ নিতে হয়। হুট করে কোন গতানুগতিক পড়াশোনা, ভালো রেজাল্ট দিয়ে এসব হয় না, ওদের সব রিকোয়ারমেন্ট পূরণ করতে হয়। অতীতে কেমন ছিলো জানি না, তবে এখন হলো, জিআরই একমাত্র মাধ্যম।
ফজলুর রহমান খান, ঢাকার ছেলে ছিলেন, তৎকালীন বুয়েটের ছাত্র ছিলেন। তৎকালীন সময়ে ফুলব্রাইট স্কলারশীপ নিয়ে আমেরিকায় University of Illinois at Urbana-Champaign এ মাষ্টার্স প্রোগ্রামে আসেন ১৯৫২ সালে । তিন বছরে দুটি মাষ্টার্স ডিগ্রী লাভ করেন structural engineering এবং one in theoretical and applied mechanics এ। structural engineering এ পিএইচি ডিগ্রী লাভ করেন ১৯৬৭ সালে। গগণচুম্বী অট্টালিকা স্থাপনের নতুন কৌশল দিয়ে তার কেরিয়ার শুরুন, সুনির্দিষ্ট টার্মের নাম আমার সংশ্লিষ্ট জ্ঞানের অভাবে বলতে পারছিনা। বর্তমান শিকাগোতে যে ১১০ তলা সিয়ারস টাওয়ার বা উইলস টাওয়ার রয়েছে , যা দেখতে প্রতিদিন সারা বিশ্ব থেকে অসংখ্য টুরিষ্ট আসে, তা তারই ডিজাইনে তৈরি। ১৯৭৩ সাল থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত এটি ছিল পৃথিবীর সবচেয়ে দীর্ঘতম (Tallest) ভবন। তারই ডিজাইন করা ।
গত কয়েকমাস আগে শিকাগোতে ঘুরতে গিয়েছিলাম ভবনটি দেখার জন্য। সারা বিশ্ব থেকে আসা টুরিস্টদের ভিড়ে ভবনের চুড়ায় উঠতে লাইনে দাড়াতে হয় ৩-৪ ঘন্টা, তারপর সেখান থেকে দেখা যায় শিকাগো নগরী। ট্যুরের প্রথমে ভবনটির পরিচিত বর্ণনায় নাম উঠে আসে ফজলুর রহমান খান, ঢাকা আর বাংলাদেশের নাম। প্রতিদিন হাজার হাজার ট্যুরিষ্ট জানতে পারে ভবনটির পিছনের মূল কারিগর একজন বাংলাদেশী।
Comments
Post a Comment