রক্ষক যখন ভক্ষক

প্রতিদিন কত খবর শুনি। কোন খবরই আমাকে তেমন একটা অবাক করে না। আমার কাছে মনে হয় ঘটনাতো ঘটারই জিনিষ, ঘটতেই পারে। দেশের রাজনীতি আর বিদেশের রাজনীতি সব জায়গায় এখন একই রকম কামড়া-কামড়ি । আচ্ছা বাদ দেন জরুরী কথার মধ্যে রাজনীতি না আনি। প্রতিদিন দেশী বিদেশী কত খবর শুনি। আমার ফেসবুক ফিডে তেমন কোন বন্ধুর ফেসবুক স্ট্যাটাস আপডেট বা চেকইন আসে না খুব একটা নিউজপেপার বা টিভির লাইব ফেসবুকের ঠেলায়। সব নিউজপেপারের ফেসবুক আপডেট এখন আমার দখলে। আরটিভি, একাত্তর, জিটিভি, বাংলাভিশন, এসএটিভি, গাজীটিভি, কাশেম টিভি, হাশেম টিভি পরথম(!) আলো, শেষ আলো আর কিছু বাকী নাই আর ফেসবুক লাইভের খাতিরে প্রতিঘন্টার আফডেট ও লাইভ পাই। সব কিছু ছাড়িয়ে যে নিউজটা একটু অবাক করার মতো হলো আমার কাছে ; ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনে অ্যাম্বুলেন্সের চাপায় ২ জন খারার উপরে নিহত আর ৫ জন আহত হয়েছে গত ১৫ তারিখ। আজকেই আরটিভির সংবাদে দেখলাম আহতদের মধ্যে আরো ৩ জন মারা গেছে। তার মধ্যে একজন অন্ত:সত্ত্বা মা ও আছেন। কত দৃর্ঘটনা দেখলাম বা শুনলাম; এত্তোবড় বিমান এত যাত্রী নিয়া সাগরে পরে ডুবে যাইতেই পারে যাত্রীর ভারে, জাহাজ ও ডুবে যাইতেই পারে সাগরের মাঝে যাত্রীর ভাবে, তুরাগ নদীতে ইস্তেমায় আসলে প্রত্যেক বছর মরুক আর না মরুক অন্তত ১০-১৫ জন তুরাগের পানিতে ডুবে। রাত ১২ টার পর প্রতি ঘন্টায় মাতাল চালকের হাতে ৮-১০ ট্রাক রাস্তা থেকে গিয়ে পাশের খালে ডুবে যাইতেই পারে, কারন চালকের কাছে মাতাল অবস্থায় খালকেও প্রশস্ত রাস্তাই মনে হয়। কোরবানের সময় কত গরু জবাই করা থেকে ছুটে গিয়ে কত জনরে শিংঙের গুতোয় মারতেই পারে। কারন জবাই করতে গিয়ে সেলফি তুলতে গেলে গরু তো পালানোর সুযোগ পাবেই। অসংখ্য রিকসা ঢাকার রাস্তায় যাত্রীসহ উল্টে যেতেই পারে। বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাশীল একটা দেশের ভার একটা মাতালের হাতে যাইতে পারে আর সেই কারনে কাল বা পরশু আমার মতো লোককে এই দেশ ছেড়ে চলে যাওয়া লাগতেই পারে। আর আপনি মনে মনে বলতেছেন আমি ফরমালিনের কথা বলতেছিনা কেন। ফরমালিন দিলে মাছি-মশা মরে কিন্তু মানুষতো আর মরে না, আর অসুখ বিসুখ হইলেও সে বেঁচে থাকে। এতক্ষন যে এইগুলা বললাম এগুলো নিত্তনৈমিত্তিক ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনা বা ঘটনা যা ঘটে চলছে এবং চলবে আমাদের দেশে বা সারা বিশ্বে । 
যেই প্রসংগে এত কিছু লিখলাম; অ্যাম্বুলেন্স । এই অ্যাম্বুল্যান্সের কাজ হলো মানুষের জীবন বাচানো, সব দেশেই এর ব্যবহার একই; মানুষ বাচানো। অ্যাম্বুলেন্সের ভিতরে মানুষ মারা যাইতে পারে। অ্যাম্বুলেন্সের ভিতর রোগীর অবস্খা যদি গুরুতর হয় তাহলে ডাক্তারের কাছে রোগী পৌছিবার পূর্বে রোগী মারা যাইতেই পারে। আর আমাদের দেশের অ্যাম্বুলেন্স রোগীসহ খাদে বা খালে পড়ে গিয়ে রোগীর মৃত্যু স্বাভাবিক ঘটনা । মারা তো যাবেই, খালের পানির যে অবস্থা আর রোগীতো রোগীই আজ হোক কাল হোক রোগীই তো মরবেই, কিন্তু সুস্থ ড্রাইভার ও মাঝে মাঝে মারা যায় আর বেঁচে থাকলে সে গ্রেফতার হবে। অ্যাম্বুলেন্স খাদে পড়ার ঘটনাও ধরলাম ঘটতেই পারে। কারন খাদ থাকলে খাদে পড়বে এইটা স্বাভাবিক । কিন্তু একটা দেশ সেরা মেডিকেল কলেজের সামনের গে্ইটে অ্যাম্বুলেন্সের চাপায় পড়ে সর্বমোট ৫ জন মারা গেছে। এর মধ্যে একজন অন্তস:ত্ত্বা মায়ের পেটে ৬ মাসের বাচ্ছাও ছিল যিনি আজকে মারা গেছেন। এই রকম ঘটনা পৃথিবীর ইতিহাসে ২য় টি ঘটছে কিনা এমনটা কখনো শুনিনি। 
আমি কোন সাংবাদিক , লেখক, রিপোটার বা সাহিত্যিক কিছুই নই। আমি কোন টকশোর অতিথি বা পরিচালক ও নই। একজন আলোচক বা সমালোচক বলতে পারেন। ব্যাপারটা নিয়া আলোচনা করার মতো লোক পাইনি। তাই নিজের আলোচনা গুলি একমুখীভাবে লিখলাম।  নিজের দেশ নিয়ে লেখতে গেলে ভয় হয় যদি কিছু ভুল হয়ে যা যায়। ভুল হলে মাফ করবেন। 

Comments

Popular posts from this blog

Statement of Purpose এর নমুনা-13 ( Analytical Chemistry)

আমেরিকার যে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডিতে এপ্লাই করতে জিআরই লাগে না, তার প্রাথমিক তালিকা_১ :

Statement of Purpose এর নমুনা-১ ( Organic Chemistry)