আমেরিকায় রসায়ন বিষয়ে কেন এত ফান্ডিং?

বাংলাদেশের মোটামোটি  সব কটি বিশ্ববিদ্যালয়েই রসায়ন বিষয়টি রয়েছে। সব কটি বিশ্ববিদ্যালয়েই প্রতিবছর নূন্যতম ৭০ থেকে ৮০ জন করে ছাত্রছাত্রী ভর্তি হয় । আর প্রায় ১০টি  বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতিবছর ৬০০ গ্রাজুয়েট  অনার্স ও মাষ্টার্স ডিগ্রী  নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়  জীবণ শেষ করেন। কিন্তু সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা হলো কতজন গ্র্যাজুয়েট চার-পাঁচ বছরে এই বিষয়টিকে ভালোবাসতে শিখে   আসলে তা সহজে অনুমেয়। কারন এই ৬০০ জনের ১০ ভাগ ও  প্রফেশনাল জীবণে রসায়ন সম্পর্কিত কিছুই করে না। অনেক দেখেছি  বন্ধুসমাজে এত কষ্ট করে চার বছর ল্যাব করে পরে গিয়ে ব্যাংকে জব করে, কেউ আবার বিসিএস প্রশাসন ক্যাডার হয়। তবে উল্লেখযৌগ্য পরিমান ছাত্রছাত্রী  রসায়ন সম্পর্কিত শিক্ষকতা পেশায় বেছে নেয় যা অনেকটাই আমাদের জন্য আশার বাণী। এদের মধ্যেই অনেকে আস্তে আস্তে উচ্চ-শিক্ষার জন্য মাইন্ডসেট করে। রসায়ন বিষয়ে উচ্চ শিক্ষার জন্য আমেরিকাই সবচেয়ে  উত্তম বলে আমার ধারণা।  আমার এই ধারণার পিছনে যথেষ্ট কারন ও রয়েছে।  রসায়ন বিষয়টি  বলা হয় সেন্ট্রাল সাইন্স। সেন্ট্রাল সাইন্সের ব্যাপারটা আসলে আমাদের দেশের প্রক্ষাপটে বুঝা একটু কঠিন। কারন আমাদের দেশের ডাক্তার, ইঞ্জিয়ার, পদার্থ, বায়োলোজি,  ইতিহাস বা যে কোন বিষয় পড়তে গেলে রসায়ন জানার দরকার হয় না। কিন্তু আমেরিকায় ব্যাপারটা সম্পূর্ণ ভিন্ন । এখানে যে বিষয়েই পড়ুক না কেন, সবাইকে রসায়ন বিষয়টি নেয়া বাধ্যতামূলক। এজন্য  সব বিশ্ববিদ্যালয়ের  রসায়ন বিভাগে স্টুডেন্টর অনেক চাপ থাকে । এই চাপ সামলানোর  যে পরিমান শিক্ষক দরকার, তা কোন বিশ্ববিদ্যালয়েই নাই। তাই , বাড়তি স্ডুডেন্টের চাপ সামালতে বাহিরের দেশগুলো থেকে স্বল্প স্টাইফেন দিয়ে টিচিং এসিস্ট্যান্ট নিয়োগ দেয়, সেই সুবাদে আমাদের পিএইডির করার সুযোগ মিলে টিচিং এসিস্ট্যান্টশীপ নিয়ে যা সাধারণত অন্য কোন সাবজেক্টে এতটা বেশী নাই। 

Comments

Popular posts from this blog

Statement of Purpose এর নমুনা-13 ( Analytical Chemistry)

আমেরিকার যে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডিতে এপ্লাই করতে জিআরই লাগে না, তার প্রাথমিক তালিকা_১ :

Statement of Purpose এর নমুনা-১ ( Organic Chemistry)