Posts

Showing posts from March, 2018

হোমিওপ্যাথি, প্ল্যাসিবো ইফেক্ট, ব্যাধি, প্রতারণা ও আমাদের অজ্ঞতা!!

গত ফেব্রুয়ারী মাসে প্রতিদিন নিজের থেকেই অনেক অজানা মানুষের সাথে পরিচিত হয়েছি; এদের কেউই আসলে ভালো নাই, এরা সবাই সবার আপন জনদের নিয়ে ভীষন রকম উদ্বিগ্ন। এদের কেউ বিত্তশালী, কেউ তথাকথিত মধ্যবিত্ত, কেউ নিম্নবিত্ত, কেউ নিম্ন-নিম্নবিত্ত মানে দিনমজুর। হঠাৎ ৯০০০ মাইল থেকে উড়ে গিয়ে এতো স্বল্প দিনে এতো লোকের সাথে পরিচিত হওয়াটা চোখে আঙ্গুল দিয়েই মনে হয় আমাকে বারবার দেখাচ্ছিল আমাদের দৈন্য দশা আর আমাদের অসহায়ত্ব। বেঁচে থাকার জন্য মানুষের আকুতি আসলে অসহনীয়। এমন একজন মানুষের নাম সাহেব হোসেন্। নোয়াখালীর মাইজদী শহরের আশে পাশে বাড়ি। ৯-১০ মাস আগে ২৩ বছরের মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন দুবাই প্রবাসী এক ছেলের কাছে। ছেলেরা ৫ ভাই সব আলাদা আলাদা। বিয়ের পর যাতে রাত বিরাতে বিশেষ প্রয়োজনে বাহিরে যেতে না হয়, এজন্য ছেলে এটাচ বাথরুম সহ বিল্ডিং করে দিয়ে দুবাই গেছে যে মাস ছয়েকের বেশী হয়েছে। হঠাৎ ছেলের বড় ভাই সহ কজন মিলে বিল্ডিংয়ের দেয়াল ভেঙে ফেলছে যাতে করে সর্বলোকে বাথরুম ব্যবহার করতে পারে। এই নিয়ে কতোদিন ধরে কাইয্যা লেগেই আছে, আর সাথে আছে মেয়েটির বিশেষ ধরণের শারীরিক জ্বালাপোড়া। ঢাকায় পপুলার হসপিটালে এসে দেখা গেলো মেয়েটির রেকট

হোমিওপ্যাথি, প্ল্যাসিবো ইফেক্ট, ব্যাধি, প্রতারণা ও আমাদের অজ্ঞতা!!

গত ফেব্রুয়ারী মাসে প্রতিদিন নিজের থেকেই অনেক অজানা মানুষের সাথে পরিচিত হয়েছি; এদের কেউই আসলে ভালো নাই, এরা সবাই সবার আপন জনদের নিয়ে ভীষন রকম উদ্বিগ্ন। এদের কেউ বিত্তশালী, কেউ তথাকথিত মধ্যবিত্ত, কেউ নিম্নবিত্ত, কেউ নিম্ন-নিম্নবিত্ত মানে দিনমজুর। হঠাৎ ৯০০০ মাইল থেকে উড়ে গিয়ে এতো স্বল্প দিনে এতো লোকের সাথে পরিচিত হওয়াটা চোখে আঙ্গুল দিয়েই মনে হয় আমাকে বারবার দেখাচ্ছিল আমাদের দৈন্য দশা আর আমাদের অসহায়ত্ব। বেঁচে থাকার জন্য মানুষের আকুতি আসলে অসহনীয়। এমন একজন মানুষের নাম সাহেব হোসেন্। নোয়াখালীর মাইজদী শহরের আশে পাশে বাড়ি। ৯-১০ মাস আগে ২৩ বছরের মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন দুবাই প্রবাসী এক ছেলের কাছে। ছেলেরা ৫ ভাই সব আলাদা আলাদা। বিয়ের পর যাতে রাত বিরাতে বিশেষ প্রয়োজনে বাহিরে যেতে না হয়, এজন্য ছেলে এটাচ বাথরুম সহ বিল্ডিং করে দিয়ে দুবাই গেছে যে মাস ছয়েকের বেশী হয়েছে। হঠাৎ ছেলের বড় ভাই সহ কজন মিলে বিল্ডিংয়ের দেয়াল ভেঙে ফেলছে যাতে করে সর্বলোকে বাথরুম ব্যবহার করতে পারে। এই নিয়ে কতোদিন ধরে কাইয্যা লেগেই আছে, আর সাথে আছে মেয়েটির বিশেষ ধরণের শারীরিক জ্বালাপোড়া। ঢাকায় পপুলার হসপিটালে এসে দেখা গেলো মেয়ে

মুহূর্তরা !

সময় শৈশব, কৈশরের পরিমাপ বোঝে না। তার হারিয়ে যাওয়া; শুধু ছড়ানো চিটানো সব সজীব মুহূর্তরা ; যা ছুঁয়ে হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করে স্বর্ণালী অতীতে। শৈশবের কনকনে শীতের গভীর রাতে পাকা রাস্তায় ছুটে চলা গাড়ির হর্ণে হঠাৎ ভাঙা ঘুম, ঘুমহীন আলস্যে লেপের তলায় জড়োসড়ো হয়ে থাকা মুহূর্তরা, মায়ের আচল, ভাঙা দেয়ালের প্রাইমারী স্কুল,মসজিদের পিছনে দীঘির পাড়ের মাঠে বিকালের ক্রিকেট খেলা, রাস্তার দিকে ঝুঁকে থাকা মৌচাক বা ভীমরুলের বাসায় ঢিল দেওয়া; সব অনুভূতিগুলো আমার.. আমার… আমার… এক মধ্যবিত্ত পাঁজরের ফাঁকে, যৌথ সংসারে লেপ্টালেপ্টি করে, একোল-ও-কোলে করে আদরে বড় হওয়া, সেই আলুথালু হাসি, ভাতের থালে বড় মাছের মাথা; সব সুখের মুহূর্তগুলো আমার.. আমার.. আমার… ঢালাও করে আসা গ্রামের সেই মেলা   আলো! আলো! লাল, নীল, সবুজ! ঝলমল!   আচমকা চোখের কোনায় আবিষ্কার, আরে এই তো আমার, আমার এক টুকরো পৃথিবী; শুধুই আমার, আমার, আমার!!! শীতের সকালে পুকুরে ধূমধাম ২-৩ ডুবে গোসল সেরে গ্রামের বন্ধুদের সাথে সাদা ড্রেসে এক সাথে স্কুলে যাওয়ার সেই মুহূর্ত গুলো যে আমার..আমার.. আমার.. দুটো হোয়াইটপ্রিন্ট খাতা, নিউজপ্রিন্ট হবে না কিন্তু, একটা লাল, একটা নীল টিপ

মুহূর্তরা !

সময় শৈশব, কৈশরের পরিমাপ বোঝে না। তার হারিয়ে যাওয়া; শুধু ছড়ানো চিটানো সব সজীব মুহূর্তরা ; যা ছুঁয়ে হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করে স্বর্ণালী অতীতে। শৈশবের কনকনে শীতের গভীর রাতে পাকা রাস্তায় ছুটে চলা গাড়ির হর্ণে হঠাৎ ভাঙা ঘুম, ঘুমহীন আলস্যে লেপের তলায় জড়োসড়ো হয়ে থাকা মুহূর্তরা, মায়ের আচল, ভাঙা দেয়ালের প্রাইমারী স্কুল,মসজিদের পিছনে দীঘির পাড়ের মাঠে বিকালের ক্রিকেট খেলা, রাস্তার দিকে ঝুঁকে থাকা মৌচাক বা ভীমরুলের বাসায় ঢিল দেওয়া; সব অনুভূতিগুলো আমার.. আমার… আমার… এক মধ্যবিত্ত পাঁজরের ফাঁকে, যৌথ সংসারে লেপ্টালেপ্টি করে, একোল-ও-কোলে করে আদরে বড় হওয়া, সেই আলুথালু হাসি, ভাতের থালে বড় মাছের মাথা; সব সুখের মুহূর্তগুলো আমার.. আমার.. আমার… ঢালাও করে আসা গ্রামের সেই মেলা   আলো! আলো! লাল, নীল, সবুজ! ঝলমল!   আচমকা চোখের কোনায় আবিষ্কার, আরে এই তো আমার, আমার এক টুকরো পৃথিবী; শুধুই আমার, আমার, আমার!!! শীতের সকালে পুকুরে ধূমধাম ২-৩ ডুবে গোসল সেরে গ্রামের বন্ধুদের সাথে সাদা ড্রেসে এক সাথে স্কুলে যাওয়ার সেই মুহূর্ত গুলো যে আমার..আমার.. আমার.. দুটো হোয়াইটপ্রিন্ট খাতা, নিউজপ্রিন্ট হবে না কিন্তু,

পার্ডুতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নেপালি গবেষক

পার্ডু বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিসকভারি পার্কের বিনলে বায়োসাইন্স সেন্টারে গবেষকের সংখ্যা প্রায় ১৫০। এখানে  অর্ধেক  আমেরিকান, আর বাকীরা নানান দেশী। এতো দিন জানতাম এদের   মাঝে তিনজন  বাংলাদেশী আছেন, দুজন গ্র্যাজুয়েট স্টুডেন্ট  ্আর বাকী  একজন হলেন বিজ্ঞানী। আমার ল্যাবের পাশেই তাঁর ল্যাব, আমরা বসি  পাশাপাশি। কর্মক্ষেত্র একই হওয়ায়  দিনে নূন্যতম ১০ বার দেখা হয়। সব সময়  বাংলায় কথা বলেন নিসংকোচে, ফোনে ও বাংলা বলেন, পার্ডু বাংলাদেশী  স্টুডেন্টদের সাথে খুবই ভালো সম্পর্ক, সব সময় সব পার্টিতে  সপরিবারে আসেন। এতো বড় মাপের মানুষ কথা বার্তায় সরলতায় ভরপুর, অহংকারের বিন্দু বিসর্গ ও নাই। শত ব্যস্ততার মাঝে ও  ১০ মিনিটের মাথায় আবার দেখা হলে ও কেমন আছো বা কি অবস্থা বলতে ভুল হয় না  উনার। গত দেড় বছর থেকে বাংলাদেশী না ভাবার কোন কারণ ছিলনা। বেশ কিছু দিন আগে একটি সেমিনারে গিয়েছিলাম, বার্টন ডি. মরগান সেন্টারে। দুএকজন প্রেজেন্টেশন দেবার পর এবার উনার পালা। শখানেক গবেষক নিরবে নিভৃতে মনোযোগ দিয়ে শুনছেন, আর উনি নিজেকে  পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন একজন নেপালী হিসাবে। অবাক হয়ে অপেক্ষায় রইলাম শেষ হলে একটু বিস্তারিত কথা বলবো, পাশের সিটে

পার্ডুতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নেপালি গবেষক

পার্ডু বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিসকভারি পার্কের বিনলে বায়োসাইন্স সেন্টারে গবেষকের সংখ্যা প্রায় ১৫০। এখানে  অর্ধেক  আমেরিকান, আর বাকীরা নানান দেশী। এতো দিন জানতাম এদের   মাঝে তিনজন  বাংলাদেশী আছেন, দুজন গ্র্যাজুয়েট স্টুডেন্ট  ্আর বাকী  একজন হলেন বিজ্ঞানী। আমার ল্যাবের পাশেই তাঁর ল্যাব, আমরা বসি  পাশাপাশি। কর্মক্ষেত্র একই হওয়ায়  দিনে নূন্যতম ১০ বার দেখা হয়। সব সময়  বাংলায় কথা বলেন নিসংকোচে, ফোনে ও বাংলা বলেন, পার্ডু বাংলাদেশী  স্টুডেন্টদের সাথে খুবই ভালো সম্পর্ক, সব সময় সব পার্টিতে  সপরিবারে আসেন। এতো বড় মাপের মানুষ কথা বার্তায় সরলতায় ভরপুর, অহংকারের বিন্দু বিসর্গ ও নাই। শত ব্যস্ততার মাঝে ও  ১০ মিনিটের মাথায় আবার দেখা হলে ও কেমন আছো বা কি অবস্থা বলতে ভুল হয় না  উনার। গত দেড় বছর থেকে বাংলাদেশী না ভাবার কোন কারণ ছিলনা। বেশ কিছু দিন আগে একটি সেমিনারে গিয়েছিলাম, বার্টন ডি. মরগান সেন্টারে। দুএকজন প্রেজেন্টেশন দেবার পর এবার উনার পালা। শখানেক গবেষক নিরবে নিভৃতে মনোযোগ দিয়ে শুনছেন, আর উনি নিজেকে  পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন একজন নেপালী হিসাবে। অবাক হয়ে অপেক্ষায় রইলাম শেষ হলে একটু বিস্তারিত কথা বলবো, পাশের স