পার্ডুতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নেপালি গবেষক
পার্ডু বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিসকভারি পার্কের বিনলে বায়োসাইন্স সেন্টারে গবেষকের সংখ্যা প্রায় ১৫০। এখানে অর্ধেক আমেরিকান, আর বাকীরা নানান দেশী। এতো দিন জানতাম এদের মাঝে তিনজন বাংলাদেশী আছেন, দুজন গ্র্যাজুয়েট স্টুডেন্ট ্আর বাকী একজন হলেন বিজ্ঞানী। আমার ল্যাবের পাশেই তাঁর ল্যাব, আমরা বসি পাশাপাশি। কর্মক্ষেত্র একই হওয়ায় দিনে নূন্যতম ১০ বার দেখা হয়। সব সময় বাংলায় কথা বলেন নিসংকোচে, ফোনে ও বাংলা বলেন, পার্ডু বাংলাদেশী স্টুডেন্টদের সাথে খুবই ভালো সম্পর্ক, সব সময় সব পার্টিতে সপরিবারে আসেন। এতো বড় মাপের মানুষ কথা বার্তায় সরলতায় ভরপুর, অহংকারের বিন্দু বিসর্গ ও নাই। শত ব্যস্ততার মাঝে ও ১০ মিনিটের মাথায় আবার দেখা হলে ও কেমন আছো বা কি অবস্থা বলতে ভুল হয় না উনার। গত দেড় বছর থেকে বাংলাদেশী না ভাবার কোন কারণ ছিলনা।
বেশ কিছু দিন আগে একটি সেমিনারে গিয়েছিলাম, বার্টন ডি. মরগান সেন্টারে। দুএকজন প্রেজেন্টেশন দেবার পর এবার উনার পালা। শখানেক গবেষক নিরবে নিভৃতে মনোযোগ দিয়ে শুনছেন, আর উনি নিজেকে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন একজন নেপালী হিসাবে। অবাক হয়ে অপেক্ষায় রইলাম শেষ হলে একটু বিস্তারিত কথা বলবো, পাশের সিটে বসেন তাতে কি, আগ্রহ বেড়ে গেলো, এখনই জানতে হবে, ঘটনা কি!!! দেড় ঘন্টা অপেক্ষার পর সুযোগ এলো আগের মতো দেশী ভাষায় কথা বলার ।
নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি নেপালী সরকারের মাসিক ৩৭ ডলারের বৃত্তি নিয়ে এসেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ফরেষ্টি বিভাগে ব্যাচেলর করতে। ব্যাচেলরের মাঝামাঝিতে কয়েকজন নেপালী ছাত্র মিলে নেপালী এম্বাসির সামনে আন্দোলন করে বৃত্তির পরিমান ৩৭ থেকে বাড়ালেন ৪৫ ডলারে। দশকের শেষ দিকে অনার্স মাষ্টার্স শেষ করে নিজের চেষ্টায় প্রফেসরের সাথে যোগাযোগ করে স্কলারশীপ নিয়ে চলে যান জাপানে Shinshu University তে ইকোলোজি ও ইভোলিউশনারি বায়োলোজিতে মাষ্টার্স করতে। 2002 এ মাষ্টার্স শেষ করে Kyushsu University তে Fungal Biochemistry and Biotechnology এর উপর ২০০৬ সালে পিএইচডি শেষ করেন।
তারপর ২০০৯ পর্যন্ত National Research Council, Canada এর Plant Biotechnology Institute কর্মরত ছিলেন তিন বছর পোষ্ট-ডক্টরাল রিসার্চ এসোসিয়েট হিসাবে । তারপর আমেরিকার একটি ন্যাশনাল ল্যাবে ২০১২ সাল পর্যন্ত পোষ্ট-ডক্টরাল রিসার্চ এসোসিয়েট কর্মরত ছিলেন। তারপর ২০১২ সাল থেকে পার্ডু বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিষ্ট্রি বিভাগ ও বিনল্যা বায়োসাইন্স সেন্টারে কর্মরত আছে প্রোটিন এপ্লিকেশন সাইনটিস্ট ও সবশেষে Purdue Proteomics Facility এর ডিরেক্টর হিসাবে হিসাবে কর্মরত আছেন। তাঁর প্রকাশিত জার্নালের সংখ্যা প্রায় ৪০।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালীন সময়েই বাংলাদেশী সহপাঠির সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। সেই থেকে বাংলা আর বাংলাদেশ আর ছাড়তে পারেন নি, তাদের সন্তান ও বাংলায় কথা বলে। চাঁটগাইয়া ভাষাতেও যথেষ্ট দক্ষ। তিনি প্রায়ই স্বপরিবার নিয়ে বাংলাদেশে শ্বশুর বাড়ি যান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যান। বাংলাদেশীদের খুব পছন্দ করেন তাই তাদের কোন অনুষ্ঠান কখনো মিস করতে চান না।
বেশ কিছু দিন আগে একটি সেমিনারে গিয়েছিলাম, বার্টন ডি. মরগান সেন্টারে। দুএকজন প্রেজেন্টেশন দেবার পর এবার উনার পালা। শখানেক গবেষক নিরবে নিভৃতে মনোযোগ দিয়ে শুনছেন, আর উনি নিজেকে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন একজন নেপালী হিসাবে। অবাক হয়ে অপেক্ষায় রইলাম শেষ হলে একটু বিস্তারিত কথা বলবো, পাশের সিটে বসেন তাতে কি, আগ্রহ বেড়ে গেলো, এখনই জানতে হবে, ঘটনা কি!!! দেড় ঘন্টা অপেক্ষার পর সুযোগ এলো আগের মতো দেশী ভাষায় কথা বলার ।
নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি নেপালী সরকারের মাসিক ৩৭ ডলারের বৃত্তি নিয়ে এসেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ফরেষ্টি বিভাগে ব্যাচেলর করতে। ব্যাচেলরের মাঝামাঝিতে কয়েকজন নেপালী ছাত্র মিলে নেপালী এম্বাসির সামনে আন্দোলন করে বৃত্তির পরিমান ৩৭ থেকে বাড়ালেন ৪৫ ডলারে। দশকের শেষ দিকে অনার্স মাষ্টার্স শেষ করে নিজের চেষ্টায় প্রফেসরের সাথে যোগাযোগ করে স্কলারশীপ নিয়ে চলে যান জাপানে Shinshu University তে ইকোলোজি ও ইভোলিউশনারি বায়োলোজিতে মাষ্টার্স করতে। 2002 এ মাষ্টার্স শেষ করে Kyushsu University তে Fungal Biochemistry and Biotechnology এর উপর ২০০৬ সালে পিএইচডি শেষ করেন।
তারপর ২০০৯ পর্যন্ত National Research Council, Canada এর Plant Biotechnology Institute কর্মরত ছিলেন তিন বছর পোষ্ট-ডক্টরাল রিসার্চ এসোসিয়েট হিসাবে । তারপর আমেরিকার একটি ন্যাশনাল ল্যাবে ২০১২ সাল পর্যন্ত পোষ্ট-ডক্টরাল রিসার্চ এসোসিয়েট কর্মরত ছিলেন। তারপর ২০১২ সাল থেকে পার্ডু বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিষ্ট্রি বিভাগ ও বিনল্যা বায়োসাইন্স সেন্টারে কর্মরত আছে প্রোটিন এপ্লিকেশন সাইনটিস্ট ও সবশেষে Purdue Proteomics Facility এর ডিরেক্টর হিসাবে হিসাবে কর্মরত আছেন। তাঁর প্রকাশিত জার্নালের সংখ্যা প্রায় ৪০।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালীন সময়েই বাংলাদেশী সহপাঠির সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। সেই থেকে বাংলা আর বাংলাদেশ আর ছাড়তে পারেন নি, তাদের সন্তান ও বাংলায় কথা বলে। চাঁটগাইয়া ভাষাতেও যথেষ্ট দক্ষ। তিনি প্রায়ই স্বপরিবার নিয়ে বাংলাদেশে শ্বশুর বাড়ি যান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যান। বাংলাদেশীদের খুব পছন্দ করেন তাই তাদের কোন অনুষ্ঠান কখনো মিস করতে চান না।
Comments
Post a Comment