Research Assistantship ও Teaching Assistantship এর মধ্যে পার্থক্য




আমেরিকায় উচ্চশিক্ষায় আগ্রহী অনেকে এই ধরণের অ্যাসিসট্যান্টশিপ সম্পর্কে বিস্তারিত জানেন না। মূলত পিউর সাইন্স বিষয়গুলো যেমন, রসায়ন, পদার্থ, গণিতশাস্ত্র এসবে Teaching Assistantship অনেক বেশী আর বিভিন্ন ধরণের ইন্জিরিয়ারিং বিষয়গুলোতে Research Assistantship বেশী দেওয়া হয়। তবে এই দুইয়ের তফাৎ সম্পর্কে আগ্রহীদের ধারণা থাকা দরকার।


Teaching Assistantship : যেহেতু আমি রসায়ণের ছাত্র তাই রসায়ণ দিয়ে বিষয়টা বোঝানোর চেষ্টা করি। রসায়নে পিএইচডির ক্ষেত্রে আমেরিকায় ছা্ত্রদের ভর্তি হয় রসায়ন বিভাগে Teaching Assistantship সহ Teaching Assistant হিসাবে ।

Teaching Assistantship হলো এক ধরণের জব। একজন টিচিং অ্যাসিসট্যান্টের দায়িত্ব হলো; নিজের যোগ্যতা অনুযায়ী বিভিন্ন সংশ্লিষ্ট ক্লাসে মূল প্রফেসরের সহকারী হিসাবে কাজ করা, কখনো সরাসরি শিক্ষকতা করা, খাতা দেখা, পরীক্ষায় প্রক্টরিং করা, খাতা দেখা, গ্রেড আপডেট করা, খাতা দেওয়া, আবার কেউ রিগ্রেডিং এর জন্য কেউ আবেদন করলে তা পুনরায় দেখা, সুনির্দিষ্ট অফিস আওয়ারে সময় দেওয়া। নিয়ম অনুযায়ী সব কিছুই করতে হয় সপ্তাহে ২০ ঘন্টার মধ্যে। কারন, কোন ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট ২০ ঘন্টার বেশী কাজ করার অনুমতি নাই।

আই টুয়েন্টির তথ্য অনুসারে, আমেরিকার এভারেজ থেকে হাই র‌্যাংকের বিশ্ববিদ্যালয়ে বার্ষিক একজন গ্র্যাজুয়েট স্টুডেন্টের টিউশন ফি ২০,০০০ ডলার থেকে ৩০,০০০ডলার। আর থাকা খাওয়া বাবদ আরো ২০,০০০ ডলার। মানে একজন গ্রাজুয়েট স্টুডেন্টের পিছনে আমেরিকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচ হচ্ছে আনুমানিক ৩০,০০০ ডলার থেকে ৫০,০০০ ডলার। কোন ছাত্রকে দিয়ে যখন আপনার ভর্তিকৃত বিভাগ উপরের দ্বায়িত্বগুলো সম্পাদন করবে, তাতে বিভাগ আপনার পিছনে ৩০,০০০ থেকে ৫০,০০০ ডলার দায় ভার গ্রহণ করবে। এতে বিভাগ যেমন উপকৃত হয় ঠিক তেমনি আমরা ও উপকৃত হই, মানে ফিফটি-ফিফটি লাভ।

Research Assistantship ও এক ধরণের জব। কোন প্রফেসর কাজের অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে গ্র্যাজুয়েট স্টুডেন্টকে নিজের ল্যাবে কোন লাভজনক প্রোজেক্টে Research Assistant হিসাবে নিয়োগ দেন। এই ক্ষেত্রে প্রফেসর হলো আপনার বস। প্রফেসর যেভাবে বলবে আপনি সেভাবেই কাজ করতে হয়। নিরবিচ্ছিন্ন গবেষনার জন্য Research Assistantship ই সবচেয়ে ভালো। একজন রিচার্স এসিসটেন্টের পিছনে বার্ষিক আনুমানিক ৩০,০০০ থেকে ৫০,০০০ ডলার খরচের দ্বায়ভার মূলত প্রফেসরের। আর এই মোটা অংকের টাকা প্রফেসরের ফান্ড থেকে খরচ হয় বিধায় প্রফেসর সাধারণত নানা ধরণের কাজ দিয়ে ছাত্রদের ব্যস্ত রাখে্।

আমেরিকার যে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে টিচিং বা রিসার্চ এসিসট্যান্টশীপ এদুটি ব্যতিরেকে পিএইচডি করা সম্ভব নয়। মূলত এদুটির কোনটিই স্কলারশীপ বা ফিলোশিপ নয়, এটা অনেকটা কাজের বিনিময়ে খাদ্য প্রকৃতির । তাই আমেরিকায় আমাদের দেশী ছাত্রদের ফান্ডিং সহ পড়াশোনার সুযোগ অনেক বেশী।


Comments

Popular posts from this blog

Statement of Purpose এর নমুনা-13 ( Analytical Chemistry)

আমেরিকার যে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডিতে এপ্লাই করতে জিআরই লাগে না, তার প্রাথমিক তালিকা_১ :

Statement of Purpose এর নমুনা-১ ( Organic Chemistry)