আমার স্বপ্নের শিক্ষক-ছাত্র সম্পর্ক
একজন শিক্ষক মানে বাবা-মা, একটি সুন্দর সম্পর্কের কারিগর, পাঞ্জেরী, নেতা, আলোকবর্তিকা, বন্ধুভাবাপন্ন (friendly but not friend) ও বটে, পথপ্রদর্শকতো বটেই। আবার মাঝে মাঝে মনে হয় শিক্ষক মানে দূরাকাশের চাঁদ বা সূর্য কিন্তু ধরা যাবে ছোঁয়া যাবে, তাঁর কাছে থেকে আলো নেয়া যাবে। জ্ঞানের সব আলো এই শিক্ষকের কাছে। বন্ধুর মতো শিক্ষক জীবনে একজন ও পাইনি। তাই ভাবি বন্ধুর মতো আবার শিক্ষক হয় কিভাবে। বিনালে-বিঘাটে এসে দেখলাম বন্ধুর মতো শিক্ষক কেমন হয়। যেখানে শ্রদ্ধা-স্নেহ দুটোই থাকবে, কোন ভয় থাকবে না, শিখানো এবং শিখার কারো আগ্রহের কোন অভাব থাকবে না। ভীতসন্ত্রস্থ হয়ে প্রশ্ন করা থেকে বিরত থাকা যাবে না। পিছনের বেঞ্চের অমোনোযোগী ছাত্রটিকে হুংকার দিয়ে চেঁচামেচি করে সবার সামনে দিয়ে ক্লাস থেকে বের করে না দিয়ে নাম ধরে ক্লাস শেষে একাকী পিঠে হাত চাপড়িয়ে বলবে কিভাবে আমি তোমায় সাহায্য করতে পারি। ক্লাসের সবচেয়ে কম জিপিএ-ধারী ছাত্রটিকে বলবে, ইউ আর বেষ্ট। আই বিলিভ ইন ইউ। ডোন্ট ওয়ারি, ইউ উইল বি ওকে। গন্তব্যে যেতে উৎসাহিত করতে সব সময় অমোনোযোগীদের স্বপ্ন দেখাবে । একজন ভালো ছাত্র, ক্লাসের ফাষ্ট বয় সেতো এমনিই স্বপ্নে বিভোর, কিন্তু শেষ বেঞ্চের ছা্ত্রটির হতাশা আর হৃদয়ের রক্তক্ষরণ থামাতে একজন শিক্ষকের রূক্ষ দৃষ্টি ছাড়া আর কোন ভূমিকা নাই ? শিক্ষকের বাহাদূরী শুধু ভালো ছাত্রদের নিয়েই? একজন শিক্ষক-ছাত্রের সু-সম্পর্কের মানদন্ড যদি শুধু পরীক্ষার সিজিপিএ হয়, তাহলে মনে হয় ক্লাসের শেষ ৮-১০ ছাত্রকে মরে যাওয়া উচিত। এমন বন্ধুবাৎসল শিক্ষক যদি বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে পেতাম আমার মনে হয় আমি রসায়ন আরেকটু ভালো বুঝতাম।
Comments
Post a Comment