ক্লাস থেকে বের করে দেওয়া, চোখের কোনায় জল আর Barron's Essential Words for the GRE (কাল্পনিক)


News Feed

ক্লাস থেকে বের করে দেওয়া, চোখের কোনায় জল আর Barron's Essential Words for the GRE (কাল্পনিক)
লেখাটি সম্পূর্ণ কাল্পনিক। বাস্তবের সাথে না মিলানোই উত্তম।আপনার জীবনের সাথে মিলে গেলে আমি দায়ী নই।
একটি ছেলের চার বছর অনার্স ফাইনাল পরীক্ষা দিবার আগেই সে বুঝেছে রসায়ন বিষয়ে তার অরুচী অনেক বেড়েছে।তার শখ হলো ঢেঁকী গেলার। রসায়ন নিয়ে দেশে মাস্টার্সের আর তার ইচ্ছা নাই বললেই চলে। । বহু দিনের ইংরেজী দুর্বলতা সে কঠোর পরিশ্রম করে অনেকটা কেটেছে। আইএলটিসে ২ বার দিয়ে ৩য় বারে ৭ পেয়েছে। জিআরই স্কোর খুবই কম বলার মতো না। এক্কেবারেই কম। এপিয়ার্ড সার্টিফিকেট দিয়ে আম্রিকার কোন এক বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিএর জন্য এপ্লাই করেছে, এরই মধ্যে মাষ্টার্স ক্লাস শুরু হয়ে গেছে, ছেলেটি ক্লাস শুরুর প্রথম সপ্তাহে জিআরই স্কোর ডেপেলপের জন্য জনৈক স্যারের লেকচার না তুলে ব্যারনসের জিআরই ওয়ার্ড বুক পড়ে। হঠাৎ স্যারের চোখ পড়লো পিছনের একটি ছেলে লেকচার না তুলে অন্য কিছু পড়ছে, স্যার দুএকটি অযাচিত বাক্য উচ্চারণ করে ছেলেটি ক্লাস থেকে বের করে দিলেন।
দুদিন পর, আবার সেই একই ক্লাস। জিআরই বই সাথে না এনে, খাতায় ওয়ার্ড লিখা ক্লাসে পড়ার জন্য। ছেলেটি স্যারের লেকচার হালকা হালকা তুলছে আবার পৃষ্ঠা উল্টিয়ে জিআরই ওয়ার্ড ও পড়ে। কোন স্যারের ই বোঝার উপায় নাই যে ছেলেটি অমোনোযোগী, তারপর ও স্যার সন্দেহের বশবর্তী হয়ে এসে ছেলেটির খাতা চেক করে দেখেন জিআরই ওয়াড। দুএকটা শোভনীয় গালিগালাজ করে ছেলেটিকে ক্লাস থেকে বের করে দিতে দিতে বলেন ছেলেটি যেন আর ক্লাসে না আসে। ততদিনে পার্সপোর্ট এম্বাসিতে। চোখেমুখে অমানিসার অন্ধকার, চাকরি-বাকরির প্রস্তুতি নাই, মাস্টার্সে স্যার বের করে দিলেন আর যদি ভিসা ও না হয়, ছেলেটির কি যে হবে, সব মিলিয়ে চোখের কোনায় জল।
ঠিক সেদিনই, মাস্টার্সের প্রথম নন-থিসিস ল্যাব, হার্ড-ওয়াটার-সফট ওয়াটার এনালাইসিস । সেই একই স্যার দায়িত্বে। বন্ধ জিআরই ব্যারনসের ওয়ার্ডবুকটি ছিল ল্যাবের ডেস্কের উপর । হঠাৎ, স্যার কোন কথা বার্তা না জিজ্ঞাস না করেই বইটি হাতে নিয়ে বলে ছেলেটিকে বলে এই বইটি তোমার না? ছেলেটি বললো হ্যা স্যার। স্যার এত জোরে ডেস্কের উপর বইটি আঘাত করলেন, পুরো ক্লাসের ৪০ জোড়া চোখ বিস্মিত হয়ে একসাথে তাকিয়ে আছে ছেলেটির দিকে। আর স্যার বলছেন, তুমি কিভাবে পাশ করো আমি দেখবো। ছেলেটির অপরাধ তার হাতে সব সময় জিআরই বেরনসের ওয়ার্ডবুকটি ।
মনের কষ্টে ছেলেটি আর ঐ স্যারের ক্লাসে আর যায় নি। কিছুদিন পর সেই স্যার ছাত্রটির খবর নিলেন ছেলেটির কোন এক বন্ধুর কাছে খবর নিলেন, ততদিনে ছেলেটি প্রশান্ত মহাসাগরের তীরের কোন এক শহরে। এরই মাঝে চলে গেলো দীর্ঘ ৩-৪ বছর। ছেলেটি গ্র্যাজুয়েট স্কুলে বেঁচে থাকার লড়াইয়ে ব্যস্ত।
দুদিন আগে ছেলেটির একটি কোয়ালিটেটিভ পরীক্ষা ছিলো, পরীক্ষার হলে হঠাৎ একজন প্রফেসর আশে পাশে ঘুরাঘুরি করছে, ছেলেটির চোখ পড়তে না পড়তেই এই প্রফেসরের সাথে সেই দেশের স্যারের শারীরিক গঠন চেহারা প্রায় একই রকম। পরীক্ষা বাদ দিয়ে ছেলেটি হারিয়ে গেলো কল্পনায়। ভাবতে না ভাবতেই আবারো সেই চোখের কোনায় জল। সারা দিনে কত কাজ, টিচিং, রিসার্চ, মিটিং তারপরে ও সেই স্যারকে মাথা থেকে সরাতে পারছে না। নিরবে নিভৃতে শুধু একই চিন্তা। মানুষের মনতো এমনই। কখনো অহেতুক টেনশন, কখনো অহেতুক উত্তেজনা আবার কখনো অহেতুক আবেগ। অনেকেরই এসবে নিয়ন্ত্রন নাই ।
রাতে ঘরে ফিরে ছেলেটি ফেসবুকে সেই স্যারকে নক দিলো :
স্যার কেমন আছেন
ভালো, হ্যালো **অমুক** তুমি কেমন আছো, পড়াশোনা কেমন চলছে?
স্যার স্ট্রাগল করে যাচ্ছি। এখনো কোয়ালিটেটিভ পাশ করিনি।
স্যার আপনার পিএইচডি আর কদিন লাগবে?
ও আরো কিছু কথা ( অসম্পূর্ণ, অসমাপ্ত)
Like
Comment
Comments
Jishan Ahmed waiting for next one!
Jobayer Chowdhury মনে পরে গেল ছেলেটির চোখের কোনায় জল আর ঠোঁটের কোনায় হাসিও ছিল 
Arif Mahmud লেখাটি সম্পূর্ণ কাল্পনিক।
Muhammad Asib Khan বাস্তবিক
Pranto Kumar Talukder আমার মনে হয় এই ঘটনার কাল্পনিক ছাএটি আপনে।
Hasan Masrur Tanjil Struggle 
Shirin Jahan Waiting for the next episode (eagerly waiting)... Likhata khub sundor guchano...
Kazi Al-Amin Islam আসলেই শুধু পরীক্ষার সময় সামনের আসনে বাসতে পারি আর বাকী সময় স্যারের সেই ফেলময় ইতিহাস
Abdul Kader vi, those who have been successful in life, I think, everybody has faced these kind of complexities.
Rahat Saiful Ashraf Barron's এর বই ক্লাসে পড়ার মানে কি? ওই সময়টাতো ক্লাশে পড়ার জন্য। এটাতো অনিয়ম তাইনা। আমি মোটামুটি বিস্মিত যে তুমি কাল্পনিক বলে যে গল্পটি লেখেছ তাতে মনে হচ্ছেনা এটা কাল্পনিক। কাল্পনিক বলে মিথ্যা বলছোনা তো! আমি জাস্ট জিজ্ঞেস করছি।
Sharif Anisuzzaman It's academic misconduct, also here in US .
Rejaul Hoq Nayem Rahat ভাই কাল্পনিক হইলে আর সত্য-মিথ্যা কেমনে হয়। আর লেকচার তোলা বাদ দিয়ে অন্য যে কোন কিছু করা তো একাডেমিক মিসকন্ডাক্টের মধ্যে পড়ে। দোষ তো ছাত্রেরই, ছেলেটিতো পাপী বটেই।
Rahat Saiful Ashraf সত্যকে কাল্পনিক বলাটা মিথ্যা এই হিসেবে মিথ্যা বলছো কিনা জিজ্ঞেস করেছিনাঈম।  তুমি বোধ হয় ধরতে পারোনি কথাটা। আমিও ইনফ্যাক্ট বুঝিয়ে বলতে পারিনি কথাটা। তোমার কমেন্ট পড়ে বুঝলাম। কেমন চলছে তোমার ভাল আছতো।
Rejaul Hoq Nayem হাহা ভাই এবার বুঝলাম। আছি আলহামদুলিল্লাহ ভালো চাপে আছি। আপনি ভালৌ আছেন?
LikeReply2January 16 at 2:24amEdited
Rahat Saiful Ashraf হাহাহা,  আমার লেখার ক্ষমতাটা দেখছো লেখক তৈরি কইরা ফালাইছে।  চাপটাপ ব্যাপার না চালিয়ে যাও। তোমার লেখার হাত অনেক ভালো। আশা রাখছি আমাদের অনেক গর্বেরও সুযোগ এনে দেবে। কমেন্টটা এডিট করলা ক্যান 
Rejaul Hoq Nayem ভাই ভাবছ আপনে রাগ কইচ্ছেন। তাই এডিট করছি!!!
Rahat Saiful Ashraf It was a nice & smart humour. And I am smart, you know that  don't you! 
Sajjad Hossain I know a story similar to this! That teacher also could not finish his PhD ever!
Lutfa B Moni well written. keep it up

Comments

Popular posts from this blog

Statement of Purpose এর নমুনা-13 ( Analytical Chemistry)

আমেরিকার যে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডিতে এপ্লাই করতে জিআরই লাগে না, তার প্রাথমিক তালিকা_১ :

Statement of Purpose এর নমুনা-১ ( Organic Chemistry)